Skip to main content

**দুঃখের ঈদ** ও চাঁদ দেখা সংক্রান্ত রাহবারের ফতোয়া।

**দুঃখের ঈদ**

✍মিনহাজউদ্দিন মণ্ডল✍


কোথায় ঈদের চাঁদ
কোথায় ঈদের দিন,
মন ছুটে যায় ঐ সুদুরে
মিসর ফিলিস্তিন।
.
ঘরে ঘরে লাশের মিছিল
কাঁদার মানুষ নাই,
বলতে পার কেমন করে
ঈদের গজল গাই?
.
মুসলমানের কান্না শুনি
পাশের মায়ানমারে,
চাঁদটা আজি লুকিয়ে গেল
করুন হাহাকারে।
.
নাই খুশী নাই ঐ সিরিয়ায়
কাশ্মিরেতেও নাই,
ভারতবর্ষে কেমনে বল
ঈদের আমেজ পাই?
.
জুলুম শোষন অত্যাচার
শেষ হবে যেদিন,
ঈদের খুশী আসবে ফিরে
ঈদ হবে সেদিন।।

ভালো লাগলে শেয়ার করে সকল friend দেরও পড়ার সুযোগ করে দিন--- আল্লাহ এর কাছে এই দোয়াই করি যেন আমাদের সকলের দৃষ্টি সকল মানব সমাজের প্রতি থাকে এবং সকলকেই ন্যায় বিচার পাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে পারি,,,একবার বলুন আমিন,,,,সুম্মা আমিন,,
Written By Minhajuddin Mondal 
12 June 2018,15:23



চাঁদ দেখা সংক্রান্ত রাহবারের ফতোয়া

৮৩৬ নম্বর প্রশ্ন : শওয়াল মাসের চাঁদ দেশের কোন শহরে যদি দেখা না যায় আর যদি রেডিও ও টেলিভশনে চাঁদ দেখার ঘোষণা দেয়া হয় তাহলেই যথেষ্ট না আরো অধিক গবেষণা করা জরুরী ?

উত্তর : চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে [তাদের ঘোষনা] আস্তা বা বিশ্বাসের সৃষ্টি করে অথবা ওয়ালিয়ে ফকির র্নিদেশ থাকে তাহলে যথেষ্ট । অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই।

৮৩৭ নম্বর প্রশ্ন :  মেঘলা আবওহাওয়া বা অন্য কোন কারণে যদি রমজান মাসের প্রথম দিন অথবা ঈদুল ফিতরের দিন নির্ধারণ করা সম্ভব না হয় তাহলে এবং শাবান মাসের বা রমজানের ত্রিশদিনও পূর্ণ না হয়ে থাকে তাহলে আমরা কি করবো ?  আমরা যারা জাপনে জীপনযাপন করি তারা কি ইরানের নীতিমালা [উফুক] অনুযায়ী আমল করবো ? না, পঞ্জিকা অনুসরণ করবো? কি করবো ?

উত্তর : যদি দেশের সরকারের কোন র্নিদেশ না  থাকে, দুইজন আদেল ব্যক্তির সাক্ষ্য বা সমপর্যায়ের উফুকে চাঁদ দেখা না যেয়ে থাকে তাহলে সবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৮৪৯ নম্বর প্রশ্ন : কোন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে চাঁদ দেখার ঘোষনা অনুসরণের ক্ষেত্রে [ ঐ অঞ্চলের চাঁদ দেখা বৈজ্ঞিনিক মানদন্ডের ভিত্তি হলেও ঐ সরকারের ইসলামী হওয়ার কোন শর্ত আছে কি ? এমন কি ঐ সরকার জালেম ও দূষ্কৃতকারী হয়, তবুও কি অনুসরণ করা যাবে?

উত্তর : এ ক্ষেত্রে মানদন্ড হল ঐসব অঞ্চলে চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে আস্তা অর্জন করা, এটাই মুকাল্লাফদের জন্য যথেষ্ঠ।
15th June 2018
08:33

Comments

Popular posts from this blog

মুয়াবিয়ার সংক্ষিপ্ত বংশ পরিচয় ........................................... মুয়াবিয়া ছিলেন আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দার জারজ সন্তান । আবু সুফিয়ানের সাথে হিন্দার বিবাহের তিন মাস পরে মুয়াবিয়া জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর মাতা হিন্দা ছিলেন একজন ‘বেশ্যা’ । উর্দুভাষী একাধিক ঐতিহাসিক, হিন্দার চারিত্রীক বর্ণনায় ‘বেশ্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন । অন্যান্য সূত্রানুযায়ী হিন্দা, বেশ্যা না হলেও তিনি যে বহু-পুরুষগামী মহিলা ছিলেন এবং মুয়াবিয়া যে তার জারজ সন্তান তার কিছু প্রমাণ পাওয়া যায় হজরত হাসান (রাঃ) ও হজরত আয়েশার (রাঃ) উক্তিতে । শাম ইবনে মুহাম্মদ কালভি (রঃ) তাঁর ‘কেতাবে মোসাব’ বইয়ে লেখেন- ‘হজরত হাসান (রাঃ) একদিন ব্যঙ্গ করে মুয়াবিয়াকে বলেন, তোমার কি মনে আছে তোমার আসল পিতা কে? মুয়াবিয়া কর্তৃক হজরত আয়েশার ভাই মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর খুন হওয়ার সংবাদ পেয়ে আবু সুফিয়ানের মেয়ে উম্মে হাবিবা (মুয়াবিয়ার বোন ও নবীজির স্ত্রী) আয়েশাকে শান্তনা দেয়ার জন্য একটি ছাগল রান্না করে পাঠিয়ে দেন । আয়েশা জিজ্ঞেস করেন, ‘এর অর্থটা কি?’ উত্তরে উম্মে হাবিবা বললেন, ‘উসমান হত্যার প্রতিদানে , তোমার ভাই ...

*কাগজ কলম দিলেন না*

*কাগজ কলম দিলেন না*       বোখারীতে আছে আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মাদ সঃকে হযরত উমার সাহেব কাগজ কলম দিলেন না ৷ উনি বললেনঃ নবী হিজিয়ান বকছেন, অর্থাৎ ভুল বকছেন ৷  অথচ রাসুলের (সাঃ) ইন্তেকালের পরে হযরত আবু বকরের একান্ত ব্যক্তিগত কাগজ কলেমের ওসিয়ত মোতাবেক হযরত ওমর দ্বিতীয় খলীফা পদে টুপ করে বসে পড়লেন । দ্বিতীয় খলীফা  হযরত ওমর রাসুলের (সাঃ) পবিত্র মিম্বরে বসে পড়লেন । একদিনের সংক্ষিপ্ত ঘটনা ---- আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) সন্তান তৃতীয় ইমাম হযরত হোসেন (আঃ) মিম্বরের উপর দিকে উঠে হযরত ওমরকে বললেন ,  *" ---- নেমে আসুন ! এটা আমার পিতার বসার মিম্বর  -----” ।*      (যারা আজ হুসাইন, হুসাইন করছেন বা হুসাইন জিন্দাবাদ বা নারা লাগাচ্ছেন ....তাদের উচিত হবে ইমাম হুসাইনের সেই সুন্নাতি প্রতিবাদী স্বরূপ তুলে ধরা ৷ কারণ হুসাইনের মা জননী আমৃত্যু হযরত উমার বা হযরত আবু বকরের সাথে কথা বলেন নি ৷  বোখারী খুলে দেখেনিন ৷  বোখারী স্পষ্ট লিখেছেন ৷ এমনকি বোখারী বলছেঃ  ফাতিমা রেগে গেলে বা ফাতিমা কষ্ট পেলে আল্লাহর রসুল রেগে যান, বা আল্লাহ রেগে যান ৷ ফা...

*৫টি বিষয় ও পাক-পাঞ্জাতন*

*৫টি বিষয় ও পাক-পাঞ্জাতন* ............. মুস্তাক আহমদ(সত্যের পথে) হাদিসে কুদসীর মধ্যে পাওয়া গেছে, কোন এক আলোকিত আলোচনার প্রসঙ্গে আল্লাহপাক বলেছেনঃ ......... *"আমি পাঁচটি জিনিষ পাঁচটি স্থানে রেখেছি, মানুষ খোঁজে অন্যত্র৷*   (১) *আমি সম্মান রেখেছি আনুগত্যে, মাণুষ খোঁজে ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালীদের দরবারে৷* (২) *আমি জ্ঞান ও প্রজ্ঞা রেখেছি ক্ষুধার মধ্যে, মাণুষ খোঁজে পূর্ণ জঠরে ৷* (৩) *আমি সুখ ও শান্তি রেখেছি বেহেশতে, মানুষ খোঁজে দুনিয়াতে ৷*  (৪) *আমি ধনী হওয়া রেখেছি অল্পতুষ্টির মধ্যে, মানুষ খোঁজে ধন-দৌলতে৷*  (৫) *আমি সন্তোষ রেখেছি নিজ-স্বার্থের বিরোধীতায়, মাণুষ খোঁজে নিজের স্বার্থপরতায় ৷* .......ফলে মানুষ অসফল হয় ৷  .......এই হাদিসের আলোকে পূর্ণভাবে  আমি জানা মতে আমার প্রাণের ১৪জন মুহাম্মাদ (সঃ),(যাদের ১৪মাসুমীন বলা হয়), তাঁদের দেখেছি ৷   .......আমরা কেন মহামূল্যবাণ ১৪জন মুহাম্মাদকে খুঁজে নেব না, কারা সেই ১৪জন পবিত্র মুহাম্মাদ ??? যাদের জন্য আল্লাহপাক ও ফেরেস্তাগণ মিলিত প্রচেষ্টায় সালাওয়াত(দরুদ) পাঠ করছেন ৷ ...