*হালমিন নাসরীন ইয়ান সুরনা*
....... মুস্তাক আহমদ(সত্যের পথে)
'হালমিন নাসরীন ইয়ান সুরনা' ...এই তৌহিদি কালাম ব্যক্ত করেছিলেন হযরত হুসাইন বিন আলী (আঃ) ৷ এই রক্তলেখা বিল্পবী-বাক্য ঐতিহাসিক প্রেক্ষেপটের বারান্দায় প্রতিনিয়ত শোনা যায় তাদের জীবনে যারা ক্ষমতাধর জালেম বাদসার বিরুদ্ধে থেকেছেন ৷
'হালমিন নাসরীন ইয়ানসুরনা'....এইবাক্যটি নিছক কোন একটি আরবী ব্যাকারণের মাদ্রাসায় পড়ানো মসলা মাসায়েল নয়, বরং এই বাক্যটি হক বাতিলের লড়াইয়ের ময়দানে মুষ্টিমেয় তৌহিদী জনতার কলিজার মাঝখানে উচ্চারিত তৌহিদী-কলেমা ৷
হযরত ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (আঃ)কারবালার অন্তিম সময়ে পাক রক্তলেখা এই অমৃত বিল্পব-বাণীটি উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত যত ক্ষমতাধর জালেম জন্ম নেবে তাদের কলিজাকে ভীত-কম্পিত করে তাদের নাপাক জোটকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দেবার জন্য উচ্চরণ করে ছিলেন, তাই আজও তাঁর এই বাক্যটি স্বকীয় রাজকীয় মহিমায় আকাশে বাতাসে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ৷
এজন্য দুনিয়াতে ক্ষমতাধর যত জালেম বাদসা জন্মনিয়েছে তারা যখনই 'হালমীন নাসরীন ইয়ান সুরনার' বাস্তবতার আলোকে আশুরার শোকমিছিল, মহররমের শোকপালন দেখেছে তাই একে সর্বপ্রথম বেদাত বলে প্রচার করেছেন ৷ তারা এই বিপ্লবীচেতনাকে ধ্বংস করার জন্য এই শোকপালনকে ধর্মীয় আচার বলে প্রচার করে আশুরার বিল্পবকে চেপে দেবার জন্য ....ঐদিনে বিভিন্ন ঘটনা বা নবীদের বিভিন্ন ফজিলত এনে একটি অপপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ৷
এই প্রসঙ্গে তাদের উদ্দেশ্যে বলছিঃ মহররম মাস কিন্তু ইসলামিক ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস নয়, বরং রবিউল মাস হল ইসলামিক ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস ৷ কারণ আল্লাহর নবী সঃএর হিজরত থেকে ইসলামিক হিজরীসন চালু হয়, আর আল্লাহর নবী হিজরত করেছেন রবিউল আওয়াল মাসে ৷
অপরদিকে আরবদেশের ঐতিহ্য আরবী ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস হলঃ মহররম মাস ৷
তা যায় হোক, 'হালমীন নাসরীন ইয়ান সুরানার' এই রক্তলেখা বিপ্লবী ডাকে সাড়া দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছিল...... মাতম, নোহা, মাশায়েব, শোকানুষ্টান বা শোকমিছিলের মাধ্যমে ৷ আর সেজন্য ক্ষমতাধর শাসকগণ তাদের তৎকালীন মিডিয়ার মাধ্যমে ঐ কাজগুলিকে বেদাত আখ্যা দিয়ে সত্যের মুখকে একপেশে করে 'শিয়া-কাফের' বলে বাজার মাত করেছিল ৷
তাদের কাছে শিয়ারা আজও কাফের কেন ?? এই প্রশ্নের মূলত জবাব হল, শিয়ারা কারবালার শেষ উচ্চারিত বানী 'হালমিন নাসরীন ইয়ান সুরনা'র ডাকে সাড়া দিয়েছেন ৷
তাই শোকপালন, শোকমিছিল বা মাতম কোন নিছক একদিন পালনীয় অনুষ্টান নয়, বরং এই শোকপালন, শোকমিছিলের মাধ্যমে আদালত প্রতিষ্টা করা ৷
বরং আশুরার শোকাণুষ্টান পালনের নাম হলঃ..একটি চলমান নিরব অশ্রুপাতের বিচার ব্যবস্থা কায়েম করা৷ ছয় মাসের নিষ্পাপ শিশু হযরত আলী আসগারের রক্তের বিচার চাওয়া ৷ ৭২জনের হত্যার বিচার ব্যবস্থার নাম আশুরার আলোকে..মাতম, শোকপালন, শোকমিছিল ৷
Comments