[11/18, 8:06 AM] Mustak Ahmed: *রসুল(সঃ)-এর সালাত*
.......মুস্তাক আহমদ(সত্যের পথে)
*সালাত* আরবী শব্দ ৷ সুধু আরবী শব্দ নয়, বরং কোরআনিক শব্দ ৷ আল্লাহপাক সালাতের বিষয় কোরআনে নাকি ৮৩ বার ব্যক্ত করেছেন, কিন্তু আমি তো দেখছি পুরো কোরআনটাই 'সালাত' ৷
আসলে 'সালাত' মানে হল সংযোগ স্থাপন করা, আল্লাহর সাথে বান্দার সংযোগের নাম 'সালাত' ৷ এ জন্য 'সালাত'কে প্রতিষ্টা(কায়েম)-এর কথা বলা হয়েছে৷ 'সালাত' পড়ার কথা বলা হয়নি ৷
কেউ যদি 'সালাত' কায়েম না করে 'সালাত' সুধু পড়ে, তাহলে সে দৈহিক অঙ্গভঙ্গী করল, অর্থাৎ উঠবোস করাই তার সার হল, আল্লাহর সঙ্গে তার সংযোগ স্থাপন হল না ৷
এবার আসি আল্লাহর রসুল(সঃ)-এর সালাতের বিষয়ে, আমার থেকে অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন, "নবীর সালাত কেমন ছিল?" আমি আজ এ প্রসঙ্গেই আলোচনার নিরিখে লিখছি, নবী(সঃ)-এর সালাত ছিল আল্লাহর সাথে নিবিড় সংযোগ স্থাপন করা ৷
আল্লাহর রসুল (সঃ) এই নিবিড় সংযোগ স্থাপন করতেন বলে মক্কার কাফেররা আল্লাহর নবীর সালাতের সিজদার সময় উটের পচা নাড়িভুড়ি চাপিয়ে দিত ৷ পাঁচ বছরের একমাত্র শিশুকন্যা হযরত ফাতিমা (আঃ) তা সরিয়ে দিতেন আর কাফেরদের উপরে লানত দিতেন ৷ এইছিল নবী সঃএর সালাত ৷
সেই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এরপর নবী সঃ যখন মদিনা এলেন তখন তিনি মেরাজে আল্লার নিকট থেকে উম্মাতের জন্য সালাত নিয়ে এলেন, আর সেই সালাতটি হল নবী সঃএর আহলে বাআতের প্রেমে দগ্ধ হয়ে আল্লাহর সামনে দাড়ানো ৷
এজন্য আল্লাহর নবী ইমাম হুসাইন (আঃ)কে পিঠে বহন করে দেখিয়ে দিলেন, বুঝিয়ে দিলেন, সালাত হল আল্লাহর সঙ্গে মেরাজ৷ মুমিনের মেরাজ সালাত, যদি সেই সালাতের ইমাম হুসাইনের জিকির থাকে ৷
একদা আল্লাহর নবী তা অনুশীলনী করে দেখেও দিলেন, ছোট্ট ইমাম হুসাইন আঃ নবী সঃএর সালাতে সিজদার হালতে পিটে উঠে বসলেন, আল্লাহর নবী সেদিন আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ(সালাত) করার একটি মৌলিক অভিনব বিষয় দেখালেন, আর সেটা হলঃ ....একদিকে হুসাইনের কথাকে স্মরণ করা আর মুখে আল্লাহর প্রসংসা করা ৷ আর এটাই হল সালাত ৷ আহলে বাইতের প্রেমে নিজেকে বিদগ্ধ করে আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর নাম সালাত ৷
নবী (সঃ) সেই সালাতের কথা আমাদের বলে গেছেন ৷ অর্থাৎ তাঁর রেখে যাওয়ার আহলে বাইতের সাথে নিবিড় মধুরপ্রেম(মুয়াদ্দাত) সম্পর্ক রাখে আল্লাহর সামনে দাড়িয়ে রুকু ও সিজদার নাম 'সালাত' ৷
যদি নবী সঃ এর আহলে বাইতের প্রতি প্রেম,মহব্বত,বা মুয়াদ্দাত না থাকে আর যদি নিছক রঙিণ মুসাল্লায় টুপি কেবলার দিকে দাড়িয়ে রুকু, সিজদার করে, তাহলে সেটা হবে দৈহিক অঙ্গকে সুধু ভঙ্গি করা ৷ একেই বলে নিছক উঠবোস করা, সেটা আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ হল না ৷ অর্থাৎ সালাত হল না ৷
মদিনায় একদিন এক ব্যক্তি এমনই উঠবোসের অঙ্গভঙ্গীর অভিনয় করছিল ৷ সে দেখাচ্ছিল সে নামাজ পড়ছে, কিন্তু আল্লাহর নবী সঃ তা শুনে আবু বকর বা উমারকে ডেকে ঐ নামাজিকে হত্যা করে দেবার হুকুম দিলেন ৷ কারণ তার অন্তরের ভিতরে নফরত(ঘৃণা)ছিল ৷
আজকের আলোচনা বিষয় ছিল নবী সঃএর সালাত কেমন ছিল ৷ সেই আলোচনার নিরিখে বলার কথা হলঃ নবী সঃএর দেখানো উম্মাতের কাছে রেখে যাওয়া সালাত হলঃ নবী সঃ এর আহলে বাইতের সাথে নিবিড় সংযোগ স্থাপন করা ৷
এজন্য আল্লাহর নবী জুম্মার খুতবাতেও ইমাম হুসাইন আঃকে দেখিয়েছেন ৷ হাযা হুসাইন শব্দ উচ্চারণ করে ৷ কারণ হুসাইনের মারেফত হল আল্লাহর সাথে সংযোগ(সালাত) ৷ একেই বলে সালাত ৷
সেটা সালাত নয়, যে মানব জীবনে নবী সঃ এর আহলে বাইতের প্রতি নবিড় প্রেম(মুয়াদ্দাত) নেই ৷
মক্কার দিন গুলিতে হযরত ফাতিমা আঃ শিশু হলেও তিনি নবী সিজদার সময় কাফেরর চাপিয়ে দেওয়া নাড়ি ভুড়ি সরিয়ে আল্লাহর সাথে নিবিড় সংযোগ স্থাপন করার সুযোগ করে দিতেন তাঁর আব্বাকে ৷
আর সেই ফাতিমা আঃ মদিনায় আব্বা(নবী) চলে যাবার পরপরই আব্বার উম্মত যাতে আল্লাহর সালত(নবিড় সংযোগ স্থাপনের ধারা অব্যহত ধারায় ধরে রাখতে পারে)সে জন্য মদিনার অলিতে গলিতে গেছেন, কারণ মদিনাবাসীর প্রায় লোক আবু বকরের হাতে বায়ত করে ফেলেছিল ৷
হযরত ফাতিমা সকলের দ্বারপ্রান্থে নিজে হাজির হয়ে উম্মাতের সালাত(আল্লাহর সাথে সংযোগ) স্থাপনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আর অপরদিকে ঐ বিচক্ষণ মহিলা হযরত ফাতিমা আঃ নিজে সালাতের(আল্লাহর সাথে সংযোগ) আধ্যাত্মিক স্বরূপ তুলে ধরার জন্য আব্বার উম্মাতের সম্মুখেই আবু বকরের সাথে ও উমারের সাথে সংযোগ সম্পর্কচ্ছেদ করেদিলেন ৷ এমনকি খাতুনে জান্নাত তাঁর পবিত্র মুখের জান্নাতি সুবাসি 'সালাম' বিনিময়ও বন্ধ করেদিলেন ৷
এই হল সালাত ৷ সালাত মানে নবী সঃএর আহলে বাইতের সাথে নিবিড় প্রেম (মুয়াদ্দাত) স্থাপন করা ৷ আর এই নিবিড় প্রেমের আগুণে বিদগ্ধ করার পর কেউ যদি আল্লাহর সামনে দাড়ায় তাহল নবী সঃ রেখে যাওয়া সালাত আদায় করলো ৷
তবে এটাও ঠিক যে, সালাত মানে যেমন নবীর আহলে বাইতের প্রতি গভীর প্রেম নিবেদন, ঠিক তেমনই যার প্রেম যত গভীর, বাতিলের প্রতি তার লানতও বেশী ৷ বাতিল হল সে সে নিজেকে নবী সঃএর আহলে বাইতের শত্রুতায় নিজের পরিচয়কে কলিমালিপ্ত করেছে ৷
*জানি না আমি বোঝাতে পারলাম নাকি, জানিনা এ প্রবন্ধ পড়ার পর আমার উপরে সমালোচনা ঝড় বয়ে যাবে কিনা ৷*
কারণ আমি 'সালাতের' প্রচলিত ধারনা উপড়ে তুলে ফেলে দিয়ে নবী সঃ এর রেখে যাওয়া প্রকৃত সালাতের স্বরূপ বা মারেফত তুলে ধরলাম ৷
বন্ধু খোদা হাফেজ ৷ অবার আসবো এরকই আলোচনা নিয়ে, ততক্ষণের জন্য সালাম ৷
*আহলে বাইত জিন্দাবাদ ৷ আহলে বাইতের শত্রুরা মুরদাবাদ ৷*
[11/18, 8:16 AM] Mustak Ahmed: *রসুল(সঃ)-এর সালাত*
.......মুস্তাক আহমদ(সত্যের পথে)
*সালাত* আরবী শব্দ ৷ সুধু আরবী শব্দ নয়, বরং কোরআনিক শব্দ ৷ আল্লাহপাক সালাতের বিষয় কোরআনে নাকি ৮৩ বার ব্যক্ত করেছেন, কিন্তু আমি তো দেখছি পুরো কোরআনটাই 'সালাত' ৷
আসলে 'সালাত' মানে হল সংযোগ স্থাপন করা, আল্লাহর সাথে বান্দার সংযোগের নাম 'সালাত' ৷ এ জন্য 'সালাত'কে প্রতিষ্টা(কায়েম)-এর কথা বলা হয়েছে৷ 'সালাত' পড়ার কথা বলা হয়নি ৷
কেউ যদি 'সালাত' কায়েম না করে 'সালাত' সুধু পড়ে, তাহলে সে দৈহিক অঙ্গভঙ্গী করল, অর্থাৎ উঠবোস করাই তার সার হল, আল্লাহর সঙ্গে তার সংযোগ স্থাপন হল না ৷
এবার আসি আল্লাহর রসুল(সঃ)-এর সালাতের বিষয়ে, আমার থেকে অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন, "নবীর সালাত কেমন ছিল?" আমি আজ এ প্রসঙ্গেই আলোচনার নিরিখে লিখছি, নবী(সঃ)-এর সালাত ছিল আল্লাহর সাথে নিবিড় সংযোগ স্থাপন করা ৷
আল্লাহর রসুল (সঃ) এই নিবিড় সংযোগ স্থাপন করতেন বলে মক্কার কাফেররা আল্লাহর নবীর সালাতের সিজদার সময় উটের পচা নাড়িভুড়ি চাপিয়ে দিত ৷ পাঁচ বছরের একমাত্র শিশুকন্যা হযরত ফাতিমা (আঃ) তা সরিয়ে দিতেন আর কাফেরদের উপরে লানত দিতেন ৷ এইছিল নবী সঃএর সালাত ৷
সেই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এরপর নবী সঃ যখন মদিনা এলেন তখন তিনি মেরাজে আল্লার নিকট থেকে উম্মাতের জন্য সালাত নিয়ে এলেন, আর সেই সালাতটি হল নবী সঃএর আহলে বাআতের প্রেমে দগ্ধ হয়ে আল্লাহর সামনে দাড়ানো ৷
এজন্য আল্লাহর নবী ইমাম হুসাইন (আঃ)কে পিঠে বহন করে দেখিয়ে দিলেন, বুঝিয়ে দিলেন, সালাত হল আল্লাহর সঙ্গে মেরাজ৷ মুমিনের মেরাজ সালাত, যদি সেই সালাতের ইমাম হুসাইনের জিকির থাকে ৷
একদা আল্লাহর নবী তা অনুশীলনী করে দেখেও দিলেন, ছোট্ট ইমাম হুসাইন আঃ নবী সঃএর সালাতে সিজদার হালতে পিটে উঠে বসলেন, আল্লাহর নবী সেদিন আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ(সালাত) করার একটি মৌলিক অভিনব বিষয় দেখালেন, আর সেটা হলঃ ....একদিকে হুসাইনের কথাকে স্মরণ করা আর মুখে আল্লাহর প্রসংসা করা ৷ আর এটাই হল সালাত ৷ আহলে বাইতের প্রেমে নিজেকে বিদগ্ধ করে আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর নাম সালাত ৷
নবী (সঃ) সেই সালাতের কথা আমাদের বলে গেছেন ৷ অর্থাৎ তাঁর রেখে যাওয়ার আহলে বাইতের সাথে নিবিড় মধুরপ্রেম(মুয়াদ্দাত) সম্পর্ক রাখে আল্লাহর সামনে দাড়িয়ে রুকু ও সিজদার নাম 'সালাত' ৷
যদি নবী সঃ এর আহলে বাইতের প্রতি প্রেম,মহব্বত,বা মুয়াদ্দাত না থাকে আর যদি নিছক রঙিণ মুসাল্লায় টুপি কেবলার দিকে দাড়িয়ে রুকু, সিজদার করে, তাহলে সেটা হবে দৈহিক অঙ্গকে সুধু ভঙ্গি করা ৷ একেই বলে নিছক উঠবোস করা, সেটা আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ হল না ৷ অর্থাৎ সালাত হল না ৷
মদিনায় একদিন এক ব্যক্তি এমনই উঠবোসের অঙ্গভঙ্গীর অভিনয় করছিল ৷ সে দেখাচ্ছিল সে নামাজ পড়ছে, কিন্তু আল্লাহর নবী সঃ তা শুনে আবু বকর বা উমারকে ডেকে ঐ নামাজিকে হত্যা করে দেবার হুকুম দিলেন ৷ কারণ তার অন্তরের ভিতরে নফরত(ঘৃণা)ছিল ৷
আজকের আলোচনা বিষয় ছিল নবী সঃএর সালাত কেমন ছিল ৷ সেই আলোচনার নিরিখে বলার কথা হলঃ নবী সঃএর দেখানো উম্মাতের কাছে রেখে যাওয়া সালাত হলঃ নবী সঃ এর আহলে বাইতের সাথে নিবিড় সংযোগ স্থাপন করা ৷
এজন্য আল্লাহর নবী জুম্মার খুতবাতেও ইমাম হুসাইন আঃকে দেখিয়েছেন ৷ হাযা হুসাইন শব্দ উচ্চারণ করে ৷ কারণ হুসাইনের মারেফত হল আল্লাহর সাথে সংযোগ(সালাত) ৷ একেই বলে সালাত ৷
সেটা সালাত নয়, যে মানব জীবনে নবী সঃ এর আহলে বাইতের প্রতি নবিড় প্রেম(মুয়াদ্দাত) নেই ৷
মক্কার দিন গুলিতে হযরত ফাতিমা আঃ শিশু হলেও তিনি নবী সিজদার সময় কাফেরর চাপিয়ে দেওয়া নাড়ি ভুড়ি সরিয়ে আল্লাহর সাথে নিবিড় সংযোগ স্থাপন করার সুযোগ করে দিতেন তাঁর আব্বাকে ৷
আর সেই ফাতিমা আঃ মদিনায় আব্বা(নবী) চলে যাবার পরপরই আব্বার উম্মত যাতে আল্লাহর সালত(নবিড় সংযোগ স্থাপনের ধারা অব্যহত ধারায় ধরে রাখতে পারে)সে জন্য মদিনার অলিতে গলিতে গেছেন, কারণ মদিনাবাসীর প্রায় লোক আবু বকরের হাতে বায়ত করে ফেলেছিল ৷
হযরত ফাতিমা সকলের দ্বারপ্রান্থে নিজে হাজির হয়ে উম্মাতের সালাত(আল্লাহর সাথে সংযোগ) স্থাপনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আর অপরদিকে ঐ বিচক্ষণ মহিলা হযরত ফাতিমা আঃ নিজে সালাতের(আল্লাহর সাথে সংযোগ) আধ্যাত্মিক স্বরূপ তুলে ধরার জন্য আব্বার উম্মাতের সম্মুখেই আবু বকরের সাথে ও উমারের সাথে সংযোগ সম্পর্কচ্ছেদ করেদিলেন ৷ এমনকি খাতুনে জান্নাত তাঁর পবিত্র মুখের জান্নাতি সুবাসি 'সালাম' বিনিময়ও বন্ধ করেদিলেন ৷
এই হল সালাত ৷ সালাত মানে নবী সঃএর আহলে বাইতের সাথে নিবিড় প্রেম (মুয়াদ্দাত) স্থাপন করা ৷ আর এই নিবিড় প্রেমের আগুণে বিদগ্ধ করার পর কেউ যদি আল্লাহর সামনে দাড়ায় তাহল নবী সঃ রেখে যাওয়া সালাত আদায় করলো ৷
তবে এটাও ঠিক যে, সালাত মানে যেমন নবীর আহলে বাইতের প্রতি গভীর প্রেম নিবেদন, ঠিক তেমনই যার প্রেম যত গভীর, বাতিলের প্রতি তার লানতও বেশী ৷ বাতিল হল সে সে নিজেকে নবী সঃএর আহলে বাইতের শত্রুতায় নিজের পরিচয়কে কলিমালিপ্ত করেছে ৷
*জানি না আমি বোঝাতে পারলাম নাকি, জানিনা এ প্রবন্ধ পড়ার পর আমার উপরে সমালোচনা ঝড় বয়ে যাবে কিনা ৷*
কারণ আমি 'সালাতের' প্রচলিত ধারনা উপড়ে তুলে ফেলে দিয়ে নবী সঃ এর রেখে যাওয়া প্রকৃত সালাতের স্বরূপ বা মারেফত তুলে ধরলাম ৷
বন্ধু খোদা হাফেজ ৷ অবার আসবো এরকই আলোচনা নিয়ে, ততক্ষণের জন্য সালাম ৷
*আহলে বাইত জিন্দাবাদ ৷ আহলে বাইতের শত্রুরা মুরদাবাদ ৷*
Comments