Skip to main content
*দলিতদের এমন পরিণতি কেন?*
........মুস্তাক আহমদ(সত্যের পথে) 
ভারতবর্ষের রাজনৈতিক বারান্দায় "দলিত" শব্দটি বেশী শোনা যায়, যারা দলিত তারা কেন দলিত হয়ে গেছেন, তা তারা জানেন না৷

 কিন্তু ভারতের আম্বেদক মহাশয় ভারতের মূল নিবাসী মানুষ কেন দলিত হয়ে গেছেন তা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেনঃ  "ভারতের আর্য নামক এক সম্প্রদায় এসেছিল যখন ভারত অবিভক্ত, তারা এখানের মূলনিবাসীগণদের ইতিহাসকে বিকৃত করে অর্ধ বা বিকৃত ইতিহাস পেশ করেছে৷ 
আর্যরা করেছে, যারা এসেছিল ভারতের বাইরের ভিন্ন এলাকা থেকে ৷ বহু গবেষক বা ঐতিহাসিকগণ বলেছেন এই আর্যগণ এসেছেন সম্ভবত মাদাইন নামক এলাকা থেকে যারা ছিলেন যারাবর ৷ অর্থাৎ আর্যগণ যাযাবর সম্প্রদায় ৷ 
  
ছোটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে আর্য বিষয়ে পড়েছিলাম ৷ পরে আমি যখন শিয়া হলাম তখন উপরের উল্লৈখিত তথ্যের রহস্য বুঝতে সক্ষম হলাম ৷ যাযাবর জাতি আর কেউ নন, তারা হল মুসা আঃ জামানার সেই বর্বর জাতি যারা হযরত মুসা আঃএর প্রতিনিধি হযরত হারুণ আঃ কে মেনে নিতে পারেনি ৷ 

জ্ঞান পরিপক্ক হলে পরে জানতে পারলাম আল্লাহর রসুল সঃ বলেছেনঃ "আমি মুসার ন্যায় আলী হারুনের ন্যায়" ৷
আরো পরে জানতে পারলাম নবী সঃ চলে যাবার পর হারীণসম হযরত আলীকে পরিত্যাগ করা হয়েছে, যারা পরিত্যাগ করেছে তারা উমাইয়া ৷ 

আর উমাইয়ারা তাই মুসলমানদের হীরো ও তাদের ইতিহাসগুলি বিকৃত করতে শুরু করে ৷ মুসলমানদের সকল ইতিহাসসমূহ যখন বিকৃত হয়ে গেল তখন বদরের তেজদীপ্ত মুসলামান আস্তে আস্তে দূর্বল হতে লাগলো ৷ এমন দূর্বল হল যে, মুসলমান দলিত হয়ে পড়ল ৷ এমন কি নবী সঃ এর জীবনের মূল্যবান ইতিহাসকে অর্ধ বা বিকৃত করেছে তারা, বোখারীতে আজ পড়ছি যেখনে বলা হয়েছেঃ "নবী সঃ নাকি ইটে বসে পায়খানা করেছেন কাবার দিকে পিছন করে বাইতুল্লাহর দিকে সামনে করে ৷" 
ছিঃ ছিঃ ঘৃণা করছি এই সকল ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য৷ 
এমনকি এও বলা হয়েছেঃ নবীর রক্তে নাপাক ছিল, নবীর রক্তকে বার করে ফিল্টার করা হয়েছে, বা বলা হয়েছে, নবী সঃ নাকি তাঁর উম্মতের নামাজ আদায়ের বিষয়ে জ্ঞান রাখেন না ৫০ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে তিনি মুসা নবীর নিকট বিড়ম্বণায় পড়েছেন ৷ 

হযরত আলী আঃ এর ইতিহাস রচনায় বলা হয়েছেঃ হযরত আলী মদ খেয়ে নামাজ আদায় করেছে, ....ছিঃ ছিঃ ঘৃণা করছি এমন ইতিহাস দেখে ৷ 

তা যায় হোক এ রকম বহু ইতিহাসকে বিকৃত করেছে উমায়ারা "হারুণসহ হযরত আলী আঃকে পরিত্যাগ করে ৷ 

দলিত মাণে যাদের কারণে অকারনণে দলিত মথিত করা হয় ৷ জুলুম করা ৷ দলিতদের দলে দলে বিভক্ত করা হয় ৷ ডিভাইড এন্ড রুল পলিশি৷

আজ মুসলমান  তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে গেছে, জানে না  তার আসল হীরোকে ৷ জানেনা তার সঠিক ইতিহাস কি ৷ মুয়াবিয়াকে হীরো(নক্ষত্র)ভেবে সাম্যবাদী ইসলামের কথা বলে, শিক্ষিত অমুসলিমদের নিকট দ্বিচারিতার মত রোগে ভুগছে ৷ সাম্যবাদী ইসলামের পরিচয় যদি, একনায়কতন্ত্র মুয়াবিয়া হীরো(নক্ষত্র) হয় তাহলে, বিচক্ষণ শিক্ষিত  অমুসলিমের কাছে ইসলাম গ্রহযোগ্যতা লাভ করছে না ৷  
তাই মুসলমানদের "দলিত" অবস্থা থেকে বাঁচার এখন মৌলিক উপায় হলঃ মুসলমানদের সঠিক ইতিহাস পেশ করা ৷ এই বাংলায় মুসলমাদের সঠিক ইতিহাস পেশ করার সময় এসেছে ৷

Comments

Popular posts from this blog

মুয়াবিয়ার সংক্ষিপ্ত বংশ পরিচয় ........................................... মুয়াবিয়া ছিলেন আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দার জারজ সন্তান । আবু সুফিয়ানের সাথে হিন্দার বিবাহের তিন মাস পরে মুয়াবিয়া জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর মাতা হিন্দা ছিলেন একজন ‘বেশ্যা’ । উর্দুভাষী একাধিক ঐতিহাসিক, হিন্দার চারিত্রীক বর্ণনায় ‘বেশ্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন । অন্যান্য সূত্রানুযায়ী হিন্দা, বেশ্যা না হলেও তিনি যে বহু-পুরুষগামী মহিলা ছিলেন এবং মুয়াবিয়া যে তার জারজ সন্তান তার কিছু প্রমাণ পাওয়া যায় হজরত হাসান (রাঃ) ও হজরত আয়েশার (রাঃ) উক্তিতে । শাম ইবনে মুহাম্মদ কালভি (রঃ) তাঁর ‘কেতাবে মোসাব’ বইয়ে লেখেন- ‘হজরত হাসান (রাঃ) একদিন ব্যঙ্গ করে মুয়াবিয়াকে বলেন, তোমার কি মনে আছে তোমার আসল পিতা কে? মুয়াবিয়া কর্তৃক হজরত আয়েশার ভাই মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর খুন হওয়ার সংবাদ পেয়ে আবু সুফিয়ানের মেয়ে উম্মে হাবিবা (মুয়াবিয়ার বোন ও নবীজির স্ত্রী) আয়েশাকে শান্তনা দেয়ার জন্য একটি ছাগল রান্না করে পাঠিয়ে দেন । আয়েশা জিজ্ঞেস করেন, ‘এর অর্থটা কি?’ উত্তরে উম্মে হাবিবা বললেন, ‘উসমান হত্যার প্রতিদানে , তোমার ভাই ...

*কাগজ কলম দিলেন না*

*কাগজ কলম দিলেন না*       বোখারীতে আছে আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মাদ সঃকে হযরত উমার সাহেব কাগজ কলম দিলেন না ৷ উনি বললেনঃ নবী হিজিয়ান বকছেন, অর্থাৎ ভুল বকছেন ৷  অথচ রাসুলের (সাঃ) ইন্তেকালের পরে হযরত আবু বকরের একান্ত ব্যক্তিগত কাগজ কলেমের ওসিয়ত মোতাবেক হযরত ওমর দ্বিতীয় খলীফা পদে টুপ করে বসে পড়লেন । দ্বিতীয় খলীফা  হযরত ওমর রাসুলের (সাঃ) পবিত্র মিম্বরে বসে পড়লেন । একদিনের সংক্ষিপ্ত ঘটনা ---- আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) সন্তান তৃতীয় ইমাম হযরত হোসেন (আঃ) মিম্বরের উপর দিকে উঠে হযরত ওমরকে বললেন ,  *" ---- নেমে আসুন ! এটা আমার পিতার বসার মিম্বর  -----” ।*      (যারা আজ হুসাইন, হুসাইন করছেন বা হুসাইন জিন্দাবাদ বা নারা লাগাচ্ছেন ....তাদের উচিত হবে ইমাম হুসাইনের সেই সুন্নাতি প্রতিবাদী স্বরূপ তুলে ধরা ৷ কারণ হুসাইনের মা জননী আমৃত্যু হযরত উমার বা হযরত আবু বকরের সাথে কথা বলেন নি ৷  বোখারী খুলে দেখেনিন ৷  বোখারী স্পষ্ট লিখেছেন ৷ এমনকি বোখারী বলছেঃ  ফাতিমা রেগে গেলে বা ফাতিমা কষ্ট পেলে আল্লাহর রসুল রেগে যান, বা আল্লাহ রেগে যান ৷ ফা...

*৫টি বিষয় ও পাক-পাঞ্জাতন*

*৫টি বিষয় ও পাক-পাঞ্জাতন* ............. মুস্তাক আহমদ(সত্যের পথে) হাদিসে কুদসীর মধ্যে পাওয়া গেছে, কোন এক আলোকিত আলোচনার প্রসঙ্গে আল্লাহপাক বলেছেনঃ ......... *"আমি পাঁচটি জিনিষ পাঁচটি স্থানে রেখেছি, মানুষ খোঁজে অন্যত্র৷*   (১) *আমি সম্মান রেখেছি আনুগত্যে, মাণুষ খোঁজে ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালীদের দরবারে৷* (২) *আমি জ্ঞান ও প্রজ্ঞা রেখেছি ক্ষুধার মধ্যে, মাণুষ খোঁজে পূর্ণ জঠরে ৷* (৩) *আমি সুখ ও শান্তি রেখেছি বেহেশতে, মানুষ খোঁজে দুনিয়াতে ৷*  (৪) *আমি ধনী হওয়া রেখেছি অল্পতুষ্টির মধ্যে, মানুষ খোঁজে ধন-দৌলতে৷*  (৫) *আমি সন্তোষ রেখেছি নিজ-স্বার্থের বিরোধীতায়, মাণুষ খোঁজে নিজের স্বার্থপরতায় ৷* .......ফলে মানুষ অসফল হয় ৷  .......এই হাদিসের আলোকে পূর্ণভাবে  আমি জানা মতে আমার প্রাণের ১৪জন মুহাম্মাদ (সঃ),(যাদের ১৪মাসুমীন বলা হয়), তাঁদের দেখেছি ৷   .......আমরা কেন মহামূল্যবাণ ১৪জন মুহাম্মাদকে খুঁজে নেব না, কারা সেই ১৪জন পবিত্র মুহাম্মাদ ??? যাদের জন্য আল্লাহপাক ও ফেরেস্তাগণ মিলিত প্রচেষ্টায় সালাওয়াত(দরুদ) পাঠ করছেন ৷ ...